ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় প্রেসক্লাবে গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত রক্ষায় জাতীয় সুরক্ষা কমিশন গঠনের দাবি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার দেশের অহংকার এটি সুরক্ষা প্রতিটি নাগরিকের যেমন দায়িত্ব তেমনি সরকারের ও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। দেশের গর্ব সৈকত ও বঙ্গবন্ধুর সৃজিত ঝাউগাছ কোনভাবে নষ্ট ও উপড়ে ফেলা যাবেনা। সমুদ্র পাড়ে ঝাউগাছ রক্ষাসহ সৈকত রক্ষায় জাতীয় সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

নাগরিক ফোরামের আহবায়ক আ.ন.ম হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতিস্বত্তার কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা।

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আরো বলেন, কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঝাউগাছ আমাদের অক্সিজেন এটা কাটা তারের বেড়া দিয়ে বন্ধি করা মানে বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছাকে বন্দি করার শামিল। সবদিক উম্মুক্ত করে বিমান ঘাটি শহরের পাশে খুরুশকুল অথবা রামুর চেইন্দায় করার জন্য প্রস্তাব রেখে সমুদ্র পাড়ে প্রস্তাবিত বিমান ঘাটির স্থানে শেখ হাসিনা সমুদ্র জাদুঘর করা হোক। একই সাথে ইনানীতে সৈকত দখল করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বক্তারা তীব্র নিন্দা জানান ও অবিলম্বে এ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করে মেরিন ড্রাইভকে সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি জানান বক্তারা। বৈঠকের শুরুতে পদ্মা সেতু বাস্তবে রুপ দান করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।

আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ভাস্কর রাশা, বিমান বাহিনীর (অবঃ) কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন লোকমান ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. যোবায়ের মোহাম্মদ এহেসানুল হক, কমিশনার গোলাম হোসেন, সাংবাদিক নেতা কেএম শহীদুল হক, জনপ্রশাসন পত্রিকার সম্পাদক নঈম মাশরেখী, কবি ইয়াদি মোহাম্মদ, নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক আনোয়ারুল হক, মোর্শেদুর রহমান খোকন, মুরাদুল কবির, হাজি মোঃ ইলিয়াচ।

জাতিসত্ত্বার কবি সভাপতির বক্তব্যে সুস্পষ্ট দাবি জনান, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে “বঙ্গবন্ধু শান্তি সৈকত ঘোষণা করা হউক।। নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক আ ন ম হেলাল উদ্দীন বিমান বাহিনীর দাবি অযৌক্তিক বলে মত দেন। ৯১ সালের বন্যায় যে স্থানে ৫/৬ ফিট পানির নিচে ছিলো সেখানে দেশের হাজার কোটি টাকার বিমান বা যন্ত্রপাতি রাখা ঝুকিপূর্ণ। কক্সবাজার ছোট শহর চতুর্থ/পঞ্চম প্রজন্মের বিমান যুদ্ধ বিমান উঠা নামা করলে পর্যটন শহর আর থাকবেনা। বিভিন্ন যৌক্তিক কারণেই বিমান ঘাঁটি শহরের বাইরেই নিয়ে যাওয়া উচিত।কারণ টাকা বাহিনী সব কিছুর ঊর্ধ্বে দেশ মাত্রিকা। নৌ বাহিনী কোন রকম মেরিণ সমীক্ষা ছাড়াই বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিনড্রাইভ ঝুকিপূর্ণ করে তুলছে।

 

পাঠকের মতামত: